দু মুখো মানুষ নিয়ে উক্তি, মুখোশধারী মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস

মুখোশধারী মানুষেরা সবদিক থেকে দক্ষ হয়। তারা জানে কীভাবে সবার সামনে নিজেদেরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হয়। তারা মিষ্টি কথা বলে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এমন আচরণ করে যাতে সবাই তাদের বিশ্বাস করে। কিন্তু তাদের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকে অমানুষিক ইচ্ছা, লোভ, ঈর্ষা এবং অনেক অজানা রহস্য।

তবে বিপত্তির শুরুটা তখনি হয় যখন আমরা সাধারণ মানুষ তাদের মিথ্যা জালে বারবার আটকে যাই। তাদের মিষ্টি কথায় মুগ্ধ হয়ে তাদের বিশ্বাস করে ফেলি। কিন্তু যখন তাদের মুখোশ খুলে যায়, তখন আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। তাদের আসল রূপ দেখে আমাদের মনে ভয়ের সৃষ্টি হয়, আমাদের মনে জাগে এক অজানা আতঙ্ক।

মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি

আচ্ছা মুখোশ কাকে বলে? -মুখোশ হলো এক ধরণের প্রতীকী আবরণ যা আসল চেহারা ঢেকে রাখে। এই আবরণ হতে পারে বাস্তবিক অথবা কাল্পনিক। আমাদের সমাজে বসবাস করা মানুষ গুলো বিভিন্ন কারণে মুখোশ ধারণ করে। কেউ কেউ লজ্জা, অপরাধবোধ বা ভয় থেকে মুখোশ পরে। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন যারা সামাজিক মর্যাদা লাভ, স্বার্থ লাভ বা অন্যদের প্রভাবিত করার জন্য মুখোশ পরে।

১। মানুষের জীবনে কালো অধ্যায়ের আঁধারে মুখোশ হয় বেঁচে থাকার একমাত্র অস্ত্র, যা সমাজের রুক্ষতার বিরুদ্ধে এক অদৃশ্য প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে।

২। সমাজের চাপে, নিয়মের বেড়াজালে, আমরা হারিয়ে ফেলি আমাদের সত্যিকারের রূপ। তাই আমরা মুখোশ পরে সামনে এগিয়ে চলি কোনো অজানা এক গন্তব্যের দিকে।

৩। মুখোশধারী ব্যক্তিরা সাময়িক প্রশংসা পায়, কিন্তু তারা কখনোই চিরস্থায়ী সম্মান অর্জন করতে পারেনা।

৪। বিশ্বাসের বন্ধন ভেঙে ফেলে মুখোশের প্রতারণা, যা নষ্ট করে জীবনের আসল সৌন্দর্য, বিষণ্ণ করে তোলে আমাদের নিষ্পাপ মনকে।

৫। আসুন, আমরা সবাই মিলে ভেঙে ফেলি মুখোশের শেকল, মুক্ত করে দেই নিজের ভেতরে থাকা সত্যের রুপকে, উড়ে যাই অজানার দিকে, যেখানে নেই ভান করার প্রয়োজন, যেখানে নেই অভিনয় করার সুযোগ।

৬। মুখোশ পরে বেঁচে থাকা সহজ, কিন্তু আসল সুখ কেবলমাত্র সত্যের পথেই পাওয়া যায়। তাই মুখোশের আঁড়ালে না থেকে সত্যের পথ বেছে নেওয়াই উত্তম কাজ।

৭। মুখোশ পরে সাময়িক ভালোবাসা পাওয়া যায়, তবে সেই ভালোবাসা কৃত্রিম ফুলের সৌন্দর্যের মতো, যা স্পর্শে নরম, কিন্তু হৃদয়ের দিক থেকে অস্তিত্বহীন।

৮। একজন মানুষের জীবনের কালো অধ্যায়ের গল্প মুখোশের ভাঁজে ভাঁজে চিরকাল লুকিয়ে থাকে, যা কখনো কেউ জানতে পারেনা, যা কখনো কেউ বুঝতে পারেনা।

৯। মুখোশধারী মানুষরা সর্বদাই সত্যের অনুসন্ধানে ভয় পায়, কারণ তারা জানে সত্য অনুসন্ধানে তাদের মিথ্যা প্রকাশ পাবে।

১০। মুখোশ পরে আমরা হয়তো নিজেদেরকে সুরক্ষিত মনে করি, কিন্তু মুখোশ পরে আমরা আসলে নিজেদেরকেই ধ্বংস করি। 

মুখোশধারী মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস

মুখোশ পরলেই কি মানুষের আসল চেহারা লুকিয়ে ফেলা সম্ভব? চোখের ভাষা, শরীরের ভাষা, কাজের ভাষা – সবকিছুই তো বলে দেয় মনের ভাব। তাই মনে রাখবেন, মুখোশ পরলে হয়তো চোখের জল লুকানো যায়, কিন্তু চোখের ভাব লুকানো যায় না। মুখোশ পরলে হয়তো হাসি লুকানো যায়, কিন্তু ঠোঁটের কাঁপুনি লুকানো যায় না। মুখোশ পরলে হয়তো কথা লুকানো যায়, কিন্তু কাজের ভাষা লুকানো যায় না।

১। সত্যের মুখোশ খুলে ফেললে, ভেঙে পড়ে মিথ্যার প্রাসাদ, আর তখনই টের পাওয়া যায় জীবনের আসল অস্তিত্বের।

২। মুখোশধারী ব্যক্তিদের বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয় না, আর সত্যিকারের বন্ধুত্বের সম্পর্কে কখনো  মুখোশের প্রয়োজন হয় না।

৩। মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়কংর মানুষ হলো, মুখোশধারী মানুষ।

৪। মুখোশ পরা মানুষ প্রেমের যোগ্য নয়, কারণ তার মন ভেতরে ভেতরে কালো। তাই মুখোশধারী ব্যক্তিরা কখনোই প্রকৃত ভালোবাসার স্বাদ নিতে পারেনা।

৫। সত্যের মুখোশ কখনোই ভাঙে না, মিথ্যার মুখোশ একদিন না একদিন অবশ্যই ছিঁড়ে যাবে।

৬। মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে অত্যাচারের কালো ছায়া, যা ভয় পাইয়ে দেয় মানুষকে।।

৭। মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মুখোশ পরে, খেলতে চায় অনেকে, তাই সাবধান থাকুন আপনিও। নয়ত আমাদের সমাজের মুখোশধারী ব্যক্তিদের কবলে পড়বেন।

৮। মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষ কখনোই সুখী হতে পারে না। কারণ, মুখোশধারী ব্যক্তিরা সর্বদাই মিথ্যার আশ্রয় নিতে পছন্দ করে। 

৯। সত্যিকারের মানুষ মুখোশ পরে না, তারা উন্মুক্ত মনে সবকিছু মেনে নেয়।

১০। সমাজের চাপ, লজ্জা এবং ভুল বোঝাবুঝির ভয়ে আমরা অনেকেই মুখোশ পরি, কিন্তু মুখোশ পরে কি আমরা সত্যিই সুখী হতে পারি?

১১। হে মানুষ, একদিন তো মুখোশ খুলে ফেলতে হবে, তাহলে কেন এতো লুকোচুরি?

১২। কখনোই মানুষের বাইরের রূপ দেখে মানুষকে বিচার করো না, কারণ মানুষের মনের আঁধারে লুকিয়ে থাকে তার আসল চেহারা।

১৩। মুখোশধারী মানুষ গুলো স্বার্থের জন্য আমাদের কাছে আসে, তাই সাবধান থাকুন, নাহলে আপনি হারিয়ে ফেলবেন আপনার জীবনের আসল অস্তিত্ব।

রিলেটেড পোস্ট:পরিবারের অবহেলা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন।

মুখোশধারী মানুষ নিয়ে ফেসবুক পোষ্ট 

মানুষ সামাজিক প্রাণী। আমাদের বেঁচে থাকা, বেড়ে ওঠা এবং সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য অন্যের সাথে যোগাযোগ এবং সংযোগ প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই যোগাযোগের পথে অনেক বাধাও আসে। অনেক সময় আমরা ভয়, লজ্জা, অ-সুরক্ষা বা অন্য কারণে আমাদের আসল চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং ইচ্ছা গুলো লুকিয়ে রাখতে চাই। এই লুকোচুরির প্রক্রিয়াটি আমাদেরকে পরিণত করে একজন মুখোশধারী মানুষে।

১। মুখোশধারী মানুষ বন্ধু নয়, শত্রু। তারা কখনো আপনার পাশে থাকবে না, বরং তারা নিজের স্বার্থের জন্য আপনাকে বিপদে ফেলবে।

২। অস্ত্র মানুষের যতটা না ক্ষতি করতে পারে তার চেয়ে হাজার গুন বেশি ক্ষতি করে মখোশধারী মানুষ!

৩। সত্যের আলোয় মুখোশ পুড়ে যায়, আর বেরিয়ে আসে আসল চেহারা, যা সুন্দর হোক বা কুৎসিত, তা মেনে নেওয়াই হবে আমাদের জীবনের প্রকৃত শিক্ষা।

৪। যাদের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে চলে জীবন যাত্রা, তাদের সেই মুখোশ একদিন না একদিন ভেঙ্গে পড়বেই, আর তখনই হবে মুক্তির দেখা।

৫। মুখোশ পরে সত্য বলা যায় না, আর মুখোশের আড়ালে কখনও ভালোবাসা পাওয়া যায় না।

৬। সাহসী মানুষ মুখোশ পরে না, তারা নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকে। তবে যারা নিজের অস্তিত্ব কে চিনতে পারেনা, শুধুমাত্র তারাই মুখোশধারী মানুষে পরিনত হয়। 

৭। মুখোশ পরে প্রেম করা যায়, বন্ধুত্ব করা যায়, কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসার স্বাদ গ্রহন করা একবারে অসম্ভব।

৮। জীবনের রণক্ষেত্রে মুখোশ পরার দরকার নেই, নিজের সাহসে লড়াই করে যাওয়াই হলো বুদ্ধিমানের কাজ।

৯। মুখোশ পরলেই কি মানুষ বদলে যায়? -নাকি মুখোশের ভেতর লুকিয়ে থাকে মানুষের আসল চরিত্র?

১০। ভুল করেও কখনো নিজের সাহসকে লুকিয়ে রাখবে না, কারণ এই জগতকে তোমার বীরত্ব দেখাতে হবে।

১১। মুখোশ পরে অভিনয় করে পৃথিবী জয় করা যায়, কিন্তু মুখোশ ছাড়া নিজেকে জয় করা অনেক কঠিন একটি কাজ।

১২। আমাদের সবার সব মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত, কিন্তু সতর্ক থাকুন, কারণ মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে মানুষের মিথ্যা অভিনয়।

১৩। মুখোশ পরলে মিথ্যা কথা বলা সহজ, কারণ সাধারন মানুষ মিথ্যার ভেতরে থাকা উদ্দেশ্যেকে বুঝতে পারে না।

১৪। কারো মুখোশের ভেতর কি আছে, তা জানতে চাইলে, চোখ দিয়ে নয় বরং আমাদের মন দিয়ে দেখতে হবে।

১৫। মুখোশ পরে ভয় পালিয়ে বেড়ানোর চেয়ে সত্যের মুখোমুখি হওয়া উত্তম কাজ। এতে করে আপনার বিরত্বের প্রমাণ পাওয়া যাবে। 

মুখোশধারী মানুষ চিনতে ভুল করা নিয়ে উক্তি

মানুষের মুখোশ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। কেউ হয়তো বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের মুখোশ পরে নিজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব গুলোকে লুকিয়ে রাখে। আবার কেউ হয়তো শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্বের মুখোশ পরে নিজের দুর্বলতা গুলোকে গোপন করে। সমাজের রীতিনীতি, নিয়মকানুন এবং প্রত্যাশার চাপেও আমরা অনেক সময় বাধ্য হই নিজেদের আসল রূপকে মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখতে।

১। সাহসীদের চোখে জ্বলে বিদ্রোহের আগুন, তাই এমন মানুষদের মুখোশের পড়ার দরকার হয়না।

২। মুখোশ পরে ভালোবাসা পাওয়া সহজ,কিন্তু মুখোশ ছাড়া ভালোবাসা ধরে রাখা সবচেয়ে কঠিন একটি কাজ।

৩। আমাদের সমাজে বাস করা প্রতিটি মানুষ এক একজন অভিনেতা, সবাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মুখোশ পরিবর্তন করে চলে। তাই সতর্ক থাকুন, খুঁজে বের করুন মুখোশধারী মানুষের আসল চেহারাকে।

৪। সত্য কখনো মুখোশ পরে না, তবে যারা নিজের স্বার্থের জন্য মিথ্যার মুখোশ পড়ে, তাদের সেই মুখোশ একদিন খুলে পড়বেই।

৫। ভালোবাসা কোনো লুকোচুরি খেলা নয়। তাই মুখোশ খুলে ফেলুন, হৃদয়ের দরজা খুলে দিন, দেখবেন সত্যিকারের ভালোবাসা আপনাকে আলিঙ্গন করবে।

৬। সত্যের মুখ সর্বদা সুন্দর হয়, মিথ্যার মুখোশ কুৎসিত, কেননা মনের সৌন্দর্যকে কোনোভাবেই মুখোশে ঢাকা যায় না।

৭। প্রতিটা মানুষের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে লোভ, আর স্বার্থপর মানুষের সত্যিকারের রূপ।

৮। মিথ্যা কথার মুখোশ পরে, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলা অসম্ভব। কেননা, মুখোশধারী মানুষের মনে সর্বদা সত্যের প্রতি ভয় কাজ করে।

৯। সত্যের আলোয় নিজের মুখোশ খুলে ফেলে দিন, প্রকাশ করুন মনের অন্ধকার, ধ্বংস করুন প্রতারণার খেলা। তবেই আপনি জীবনের আসল স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।

১০। সততা ও ন্যায়ের সাথে বেঁচে থাকুন, যদি আপনার মন পরিষ্কার থাকে, তবে মুখোশ পরার প্রয়োজন হবেনা।

১১। মুখোশ পরে লুকিয়ে থাকা মানুষ কখনো সত্যিকারের ভালোবাসা পায় না, তারা কেবল একাকীত্বে ভুগে। আর এটাই হলো, মুখোশধারী মানুষের জন্য প্রকৃত উপহার।

১২। মুখোশের আড়ালে ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায় না, কারণ ভালোবাসা মন থেকে আসে। কিন্তুু ‍মুখোশধারী মানুষের মনে সর্বদা স্বার্থপরতা লুকিয়ে থাকে।

১৩। যে মানুষ মুখোশ পরে প্রতারণা করে, তার কাছে কখনো সত্য খুঁজে পাবেন না। কারণ, তারা নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য সর্বদা মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়।

১৪। মুখোশের নিচে লুকিয়ে থাকা অশান্তি আপনাকে কখনো শান্তি দিতে পারবে না, তাই সাহস করে নিজের মুখোশ খুলে ফেলুন, তবেই আপনি জীবনের প্রকৃত প্রশান্তি পাবেন।

১৫। যারা সত্যের আলোয় হাঁটে, তাদের অস্তিত্ব হয় অমর, কারন তাদের অস্তিত্ব অন্যান্য মানুষের কাছে জীবন্ত স্মৃতি হয়ে থাকে চিরকাল।

রিলেটেড পোস্ট:বন্ধুর বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি,,কবিতা।

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

মুখোশধারী মানুষেরা এই রহস্যের জগতকে আরও জটিল করে তোলে। নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে তারা অন্যদের সামনে ভিন্ন রূপে উপস্থিত হয়। কিন্তুু তারা কেন মুখোশ ধারন করে? -হয়তো স্বার্থ, হয়তো ভয়, হয়তো অন্য কোন অজানা কারণ। তাই সতর্ক থাকুন! মুখোশধারী মানুষদের থেকে সাবধান থাকুন। তাদের মিষ্টি কথায় নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়ার আগে ভাবুন, খুজে বের করার চেস্টা করুন তাদের আসল উদ্দেশ্য কি।