রমজান নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, হাদিস, বাণী ও ইসলামিক পোস্ট দিয়ে সাজানো হলো এই লেখাটি। রমজান হল ইসলামের সর্ব উত্তম ও পবিত্র মাস, যা আত্মসংযম, সিয়াম বা রোজার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।রমজান মাস শুধুমাত্র খাদ্য বা পানীয় থেকে বিরত থাকার সময় নয়; এটি আত্মসংযম, চিন্তা এবং কর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার মাস।
এই লেখাতে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করবো পবিত্র মাহে রমজান মাসের তাপর্যপূর্ণ সব ইসলামিক উক্তি, বানী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন। এবং সাথে থাকছে ইসলামিক কিছু কথা, রমজান মাসের চাঁদ নিয়ে স্ট্যাটাস ও উক্তি।
রমজান নিয়ে উক্তি ২০২৪
রমজান মাস ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যা সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য আধ্যাত্মিক শুদ্ধি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক। এখানে রমজান মাস নিয়ে বাছাইকৃত কিছু জনপ্রিয় উক্তি তুলে ধরা হলো। এই লেখাতে আরো থাকছে ইউনিক সব রমজানের চাঁদ নিয়ে স্ট্যাটাস।
রমজান এমন এক মাস, যার শুরুতে রহমত, মাঝামাঝিতে মাগফিরাত এবং শেষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। -(সহিহ বুখারি)
যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। -(সহিহ বুখারি, মুসলিম)
রোজা একটি ঢালস্বরূপ, যা মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করে। -(তিরমিজি)
জান্নাতের একটি দরজা আছে, যার নাম ‘রাইয়ান’। কিয়ামতের দিন শুধু রোজাদাররা এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। -(সহিহ বুখারি)
রমজানে রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে: একটি ইফতারের সময়, এবং আরেকটি তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। -(সহিহ মুসলিম)
রোজা তোমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে যেমনভাবে তা তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। -(সূরা আল-বাকারাহ: ২:১৮৩)
রমজান মাসে প্রতিদিনই আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেন। -(সহিহ বুখারি, মুসলিম)
রমজানের চাঁদ নিয়ে স্ট্যাটাস
আলহামদুলিল্লাহ! রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস আমাদের কাছে এসেছে। দোয়া করি আল্লাহ আমাদের এই রমজান মাসের উসিলায় পাপ মুক্ত করে দেন। আমিন।
রমজান চাঁদ দেখা গেছে। আল্লাহর কাছে পানহা চাই, এবং দোয়া করি আল্লাহ আমাদের রোজা ও ইবাদত কবুল করুন।
রমজানের চাঁদ দেখা মানে আমাদের জন্য রহমতের দ্বার খুলে যাওয়া। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এই সুযোগ যেন আমরা এই রমজান মাসে কাজে লাগাতে পারি।
রমজানের চাঁদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যে সময়টি পবিত্রতার, ইবাদতের এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের।
পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা
পবিত্র মাহে রমজান মাসে আল-কুরআন নাজিল হয়েছিল, যা ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। রমজান মাসের মূল উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া (আল্লাহর ভয় এবং আনুগত্য) অর্জন এবং আত্মার পরিশুদ্ধি করা। পবিত্র মাহে রমজানে আমরা এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকি। এখানে সুন্দর কিছু পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা তুলে ধরা হলো।
সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। এই পবিত্র মাহে রমজান বয়ে আনুক সবার জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি, এবং আল্লাহর অসীম রহমত।
পবিত্র মাহে রমজানের রোজা শুধু ক্ষুধা-তৃষ্ণা থেকে বিরত থাকা নয়, বরং আত্মা ও হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করার একটি মাধ্যম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আত্মা ও হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করার তৌফিন দেন।
পবিত্র মাহে রমজান মাসের উসিলায় আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়াত দান করুক। এবং আমাদের পাপ থেকে বরত থাকার তৌফুক দান করুক। সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা সবাইকে। এই রমজান আমাদের জন্য বয়ে আনুক শান্তি, সমৃদ্ধি।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান আমাদের মাঝে এসেছে। আল্লাহ আমাদেরকে এই রমজান মাসে পরিশুদ্ধি করে দেন আমিন। মাহে রমজানের শুভেচ্ছা সবাইকে।
রামাদান মোবারক ক্যাপশন
রামাদান মুসলমানদের জীবনে আধ্যাত্মিক শুদ্ধি, সংযম, এবং আত্মশুদ্ধির মাস। এখানে কিছু রামাদান মোবারক ক্যাপশন দেওয়া হলো। আর সাথে থাকছে সুন্দর কিছু রোজা নিয়ে ইসলামিক পোস্ট।
রমজানের এই পবিত্র মাসটি আমাদের জন্য শান্তি, ধৈর্য, এবং তাকওয়া নিয়ে আসুক। রামাদান মোবারক।
আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে আত্মার মুক্তির সুযোগ নিয়ে রামাদান এসেছে। সবাইকে রামাদান
রামাদান মোবারক। এই রমজান হোক আমাদের জীবনের সেরা রমজান। আল্লাহ সবাইকে পাপ মুক্ত করার তৌফিন দান করুক এই রামাদান মাসে।
এই রামাদান মাসে আল্লাহ আমাদের ওপর তাঁর রহমত বর্ষণ করুন। সবাইকে রামাদান মোবারক!
আত্মা ও হৃদয়কে পবিত্র করার মাসে সবার জন্য রামাদানের শুভেচ্ছা। রামাদান মোবারক!
রোজা নিয়ে ইসলামিক পোস্ট
যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। -(সহিহ বুখারি, মুসলিম)
রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে: একটি ইফতারের সময় এবং আরেকটি তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। -(সহিহ বুখারি)
জান্নাতের একটি দরজা আছে, যার নাম ‘রাইয়ান’, কিয়ামতের দিন শুধু রোজাদাররা এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। -(সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘রোজা শুধু আমার জন্য, এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।’ রোজাদার ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তি ও খাবার-পানীয় আমার জন্য ত্যাগ করে। -(সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
রোজার সময় কেউ যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং ঝগড়া না করে। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করে, সে যেন বলে, ‘আমি রোজা রেখেছি। -(সহিহ বুখারি)
সেহরি নিয়ে স্ট্যাটাস
রোজার দিন শুরু হয় সেহরি দিয়ে, যা ভোরের আগে খাওয়া হয়। সূর্যোদয়ের আগেই সেহরি শেষ করতে হয় এবং তারপর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস থাকে। এই সেকশনে বাছইকৃত সেহরি নিয়ে স্ট্যাটাস শেয়ার করা হলো। আর সাথে থাকছে সুন্দর কিছু শেষ সেহরি স্ট্যাটাস।
সেহরি খাবারটি বরকতময়, তাই তা কখনো পরিত্যাগ করো না, এমনকি এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহরি খাও। কারণ আল্লাহ সেহরি খাওয়া ব্যক্তিদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন। -(ইবনে মাজাহ)
সেহরিতে বরকত রয়েছে। এটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর কাজ। এটি তোমাদের ইবাদতের শক্তি যোগায় এবং দিনের রোজার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে। -(মুসলিম)
আমাদের রোজা এবং আহলে কিতাবের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহরি গ্রহণ করা। -(সহিহ মুসলিম)
সেহরি হলো মোবারক খাবার, তাই তা কখনো বাদ দিও না। (তিরমিজি)
সেহরি খান, কারণ সেহরিতে বরকত রয়েছে। -(সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
শেষ সেহরি স্ট্যাটাস
একবার এক ব্যক্তিরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কি শেষ সেহরি খাওয়ার সময় দেরি করব?’ তিনি বললেন: ‘এটি তোমাদের মধ্যে আসুন।’ এই সময়টি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ। -(বুখারি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘অন্তত শেষ সেহরির সময়ে খাওয়া এবং আল্লাহর রহমত কামনা করা উচিত। -(ইবনে হিব্বান)
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘সেহরি শেষ করার সময় শিঙের আওয়াজ শোনা যায়, তখন শেষ সেহরি গ্রহণের সময় শেষ হয়েছে। -(তিরমিজি)
সেহরি খাওয়ার সময়টি শেষ সেহরির সময়ে বরকতপূর্ণ। তোমরা সেহরির সময় দেরি করো, কিন্তু শেষ সময়ের আগে সেহরি খাওয়ার চেষ্টা করো। -(বুখারি)
শেষ সেহরির সময় সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘তোমরা শেষ সময়ে সেহরি খাও, কারণ আল্লাহ তাআলা সেহরির সময়ে পানাহাররত থাকলে ফেরেশতাদের কাছে দোয়া করেন। -(বুখারি, মুসলিম)
রিলেটেডঃ ১০০+ ইসলামিক স্ট্যাটাস: Best Stylish Islamic Status Bangla
রমজান শেষ নিয়ে স্ট্যাটাস
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘যদি রমজানের শেষ রাত আসে, তখন আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য মুক্তির ঘোষণা দেন এবং যারা রোজা রাখে তাদের সব গুনাহ মাফ করে দেন। -(সহিহ মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখে এবং তার শেষে ঈদুল ফিতরের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিনা হিসাবের পুরস্কার রয়েছে। -(ইবনে মাজাহ)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন: ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হবে। এই দিনটি হলো উপহার পাওয়ার দিন। -(বুখারি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপন করো, কারণ এটি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন। -(তাবারানি)
রমজানের শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাসীদের গুনাহ মাফ করেন এবং তাদের মুক্তি ঘোষণা করেন। -(সহিহ মুসলিম)
রমজান নিয়ে কিছু ইসলামিক কথা
রমজান মুসলমানদের জীবনে আধ্যাত্মিক শুদ্ধি, সংযম, এবং আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে মুসলমানরা শুধু খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকে না, বরং মনের খারাপ চিন্তা ও কাজ থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করে। এটি একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন যা আল্লাহর নৈকট্য লাভ, ক্ষমা প্রার্থনা এবং মানবতার সেবায় উৎসর্গীকৃত।
রিলেটেডঃ স্বামী স্ত্রীর ইসলামিক স্ট্যাটাস ২০২৪ | জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি
পরিশেষে
আশা করি রমজান নিয়ে লেখাটি আপনাদের পরা শেষ। কেমন লেখছে আজকে আমাদের রমজান নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, বানী, হাদিস গুলো কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
আর এই রকম ইসলামিক উক্তি, স্ট্যাটাস, বানী, ক্যাপশন চাইলে আমাদের পেইজটি ঘুরে আসতে পারেন। এবং আমাদের সাথে থাকতে পারেন।